Header Ads

Header ADS

ফজর নামায ছেড়ে আমাদের কী ক্ষতি হলো? মুসলিম হলে জেনে নিন।

★১. নেফাক থেকে মুক্তির পরোয়ানা হারিয়েছি।

قال صلى الله عليه وسلم : أثقل الصلاة على المنافقين صلاة العشاء وصلاة الفجر .

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মুনাফিকের জন্য সবচে’ কঠিন নামায ইশা ও ফজর।
:
২. জান্নাতে প্রবেশের সর্বোত্তম মাধ্যমকে হাত ছাড়া করেছি।

قال صلى الله عليه وسلم : من صلى البردين دخل الجنة .البردين : الفجر والعصر .

রাসূল ইরশাদ করেন, যে দুই শীতলতার নামায আদায় করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। দুই শীতলতা হলো, ফজর ও আসর।
:
৩. জাহান্নাম থেকে মুক্তির পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছি।

قال صلى الله عليه وسلم : لن يلج النار أحد صلى قبل طلوع الشمس وقبل غروبها .

আল্লাহর রাসূল বলেন, সে ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে না যে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বের নামায আদায় করেছে। তথা ফজর ও আসরের নামায।
:
৪. আল্লাহর সাহায্য ও হিফাযত থেকে বের হয়ে গিয়েছি।
قال صلى الله عليه وسلم : من صلى الصبح فهو في ذمة الله .

রাসূল বলেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামায আদায় করে সে আল্লাহর যিম্মায় থাকে।
:
৫. সারারাত নামায পড়ার সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়েছি।
قال صلى الله عليه وسلم : من شهد العشاء في جماعة كان له قيام نصف ليلة ومن صلى العشاء والفجر في جماعه كان له كقيام ليلة .

আল্লাহর হাবীব ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি 
ইশার জামাতে শরীক হয় সে যেনো অর্ধ রাত নামাযে থাকে আর যে ব্যক্তি ইশা ও ফজরের নামায জামাতে আদায় করে সে সারারাত নামাযে থাকার সাওয়াব প্রাপ্ত হয়।
:
৬. ফিরিশতাদের সাথে মোলাকাত থেকে বঞ্চিত হয়েছি ও তাদের গণনা থেকে আমাদের নাম বাদ পড়েছে।
قال صلى الله عليه وسلم : يتعاقبون فيكم ملائكة بالليل وملائكة بالنهار ويجتمعون في صلاة الصبح والعصر ثم يعرج الذين باتو فيكم فيسألهم الله وهو أعلم كيف وجدتم عبادي فيقولون تركناهم وهم يصلون وأتيناهم وهم يصلون .

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, দিনে-রাতে ফিরিশতারা (দু’টি দল) একের পর এক তোমাদের মাঝে অবস্থান করে। তারা ফজর ও ইশার নামাযের সময় পরষ্পর মিলিত হয়। রাত্রিতে অবস্থানকারী ফিরিশতা যখন উর্ধ্বে গমন করেন তখন আল্লাহ তাদের জিজ্ঞেস করেন, আমার বান্দাদের কী অবস্থায় পেলে? অথচ আল্লাহ ভালোভাবেই বান্দার অবস্থা সম্পর্কে অবগত।
ফিরিশতারা জবাবে বলে, আমরা যখন তাদেরকে ছেড়ে এসেছি তখন তারা নামাযে ছিলো, যখন তাদের নিকট গিয়েছিলাম তখনো তারা নামাযে ছিলো।
:
৭. কিয়ামত দিবসের নূর ও জ্যোতি থেকে বঞ্চিত হয়েছি।

قال صلى الله عليه وسلم : بشر المشائين في الظلم إلى المساجد بالنور التام يوم القيامة .

রাসূল ইরশাদ করেন, রাতের আঁধারে মসজিদে গমণকারীকে কিয়ামত দিবসে পূর্ণ নূরের সু-সংবাদ প্রদান করো।
:
৮. দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যবর্তী সবকিছুর চেয়ে উত্তম প্রতিদান প্রাপ্তি থেকে মাহরুম হয়েছি।

قال صلى الله عليه وسلم : ركعتي الفجر خير من الدنيا وما فيها .
أي سنة الفجر التي تصلى قبلها.
هذا أجر السنة الراتبة فكيف أجر الفريضة ؟؟؟

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ফজরের দুই রাকাত নামায দুনিয়া ও দুনিয়ার মাঝে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম। অর্থাৎ ফজরের আগে আদায় করা দুই রাকাত সুন্নাত। এটি তো, সুন্নাতের প্রতিদান তাহলে ফরজের প্রতিদান কেমন হবে? (তা অনুমান করে নাও)
:
৯. সর্বোচ্চ মাকাম ও উত্তম গুণে অভিষিক্ত হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছি।

قال صلى الله عليه وسلم : من توضأ في بيته فصلى ركعتين قبل الفجر ثم جلس حتى يصلي الفجر كتبت صلاته يومئذ في صلاة الأبرار وكتب من وفد الرحمن .

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি নিজগৃহে উযু করে ফজরের পূর্বের দুই রাকাত নামায পড়ে এরপর ফজরের নামায পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করে তার সেদিনের নামাযকে আবরার তথা নেককারদের নামাযের মাঝে গণ্য করা হয় এবং তাকে রাহমানের (প্রিয়দের) দলভূক্ত করা হয়।
:
১০. প্রভূত কল্যাণ ও বরকত থেকে বঞ্চিত হয়েছি।

قال صلى الله عليه وسلم : لويعلم الناس مافي صلاة العشاء وصلاة الفجر لأتوهما ولو حبوا .

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি মানুষেরা  ইশা ও ফজরের নামাযের ফযিলাত সম্পর্কে জানতো তাহলে বুকে হেঁচড়ে হলেও নামাযে শরীক হতো।
:
বন্ধুরা!! আমরা সামান্য অবহেলার চক্করে পড়ে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছি মহান প্রভু কর্তৃক নির্ধারিত হাজারো পুরষ্কার থেকে। বঞ্চিত হচ্ছি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বহু সু-সংবাদ থেকে। 
:
বন্ধু!! প্রকৃত মুমিন তো তারাই যারা আখিরাত প্রাপ্তির আশায় দুনিয়ার সব সুখ-ঐশ্বর্য্য ধুলায় লুটাতে প্রস্তুত হয়ে যায়। তাহলে আমরা কেনো পারবো না? কেনো পারবো না ‘আসসালাতু খাইরুম মিনান্নাওম’ কে অন্তরে বদ্ধমূল করতে?
:
বন্ধু আমার!! আসুন! আজ থেকে শপথ গ্রহণ করি, যতো ঝড় আসুক, যতো বাঁধা আসুক আমরা কোনোক্রমেই ফজর নামায ছাড়বো না। শুধু ফজর নয় কোনো নামাযই ছাড়বো না। আর ক্ষতিগ্রস্থ হতে চাই না।
:
ও মালিক!! আমাদের তাওফিক দাও। তোমার প্রিয় করে নাও। মাফ করে দাও। তোমার যে বান্দারা ‘আসসালাতু খাইরুম মিন কুল্লি আশইয়া’- কে অন্তরে বদ্ধমূল করেছে তাদের অন্তর্ভূক্ত করে নাও। আমীন।
:
- শায়খ ফাহিম মুহাম্মদ আতাউল্লাহ
[আল্লাহ তা'য়ালা! হযরতকে উত্তম বিনিময় দান করুন]

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.