পবিত্র কোনআনে বর্নিত, একের অধিক বিবাহের দুনিয়াবি সুবিধা || ইসলামিক ||
১. এক স্ত্রী প্রেগন্যান্ট বা মিন্স অবস্থায় থাকলে আপনি অন্য স্ত্রীর সাথে নিশ্চিন্তে স্ত্রী সহবাস করতে পারবেন, ফেতনায় পড়তে হবে না।
২. এক স্ত্রী অসুস্থ থাকলে অন্য স্ত্রী রান্নাবান্না সহ বাসার সব কাজ করতে পারবে তৎসঙে সুস্থ স্ত্রী অসুস্থ স্ত্রীরও সেবা করতে পারবে।
৩. স্বামী অফিস বা ব্যবসার কাজে একটু বেশি রাতে বাড়ি ফিরলে সব স্ত্রী মিলে নির্ভয়ে থাকতে পারবে। শত্রু বা তেলাপোকা/টিকটিকি বা ভুতের ভয় থেকে বেচে থাকতে পারবে।
৪. ঘরের কাজকর্ম যেমনঃ ঘর গোছানো, রানাবান্না করা এগিয়ে থাকবে মিলেমিশে সকল স্ত্রী বোনের মত থেকে বাড়িকে সাজিয়ে রাখবে। ফলে সকলের পরিশ্রম কম হবে।
৫. কোন স্ত্রী শশুরবাড়ি বেড়াতে গেলে অন্য স্ত্রী কে নিয়ে সহবাস করতে পারবে ফলে তার কোন মানসিক উৎকন্ঠা বা ফিতনার ভয় থাকবেনা
৬. মহিলাদের জন্য দাওয়াতি কাজ করার সময় বেশি কাজ করা যাবে
৭. অধিক স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে নেকি ও সওয়াব ও অনেক বেশি হবে। একইভাবে অধিক সন্তান নেবার সুযোগ বেশি পাবে, উম্মাহ শক্তিশালী হবে।
৮. চারজন স্ত্রী থাকলে তার কখনো বাইরের কোন নারীর প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হবেনা। মানসিক প্রশান্তি বেশী হবে ফলে মন আত্মা তরতাজা ও সবল হবে এবং আল্লাহর রাস্তায় জীবনকে উৎসর্গ করার অদম্য স্পৃহা সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ।
৯. একের অধিক স্ত্রী থাকলে প্রত্যেক স্ত্রী স্বামীকে ভালবাসার প্রতিযোগীতা করবে। একে অপরের বেশি ভালবাসায় ইর্ষান্বিত হবে এবং স্বামীকে সর্বোচ্চ উজার করে দেয়ার একটি সুস্থ প্রতিযোগীতা চলমান থাকবে।
১০. অনেকজন স্ত্রী থাকাতে ষোড়শী স্ত্রীও দুই একজন থাকতে পারে। কম বয়সের স্ত্রী থাকাতে পুরুষের যৌবণ সর্বদা টগবগে থাকবে ফলে অপেক্ষাকৃত বেশী বয়সের স্ত্রীদের সাথে যৌন সম্ভোগে কোন দূর্বলতা আসবে না, ফলে সবাই শারীরিকভাবে সুখী থাকবে।
১১. পুরুষ শারিরীক ও মানসিক ভাবে চনমনে থাকলে তার প্রতিদিনের কাজকর্মও সুন্দর হবে, ফলে চাকরি ও ব্যবসায় বরকত হবে।
১২. বর্তমান সমাজে নারীরা অবহেলিত, লান্চিত। বিয়ের সময় কনে পক্ষ হতে বর পক্ষকে যৌতুক দিতে হয়। এমনও দেখা যায় কিছু মেয়ের বাবা তাদের মেয়েকে বিয়ে দিতে ভিক্ষাবৃত্তি পর্যন্ত করতে বাধ্য হন। সমাজের সামর্থ্যবান পুরুষরা যদি আল্লাহর আইন মেনে একাধিক বিয়ে করেন তাহলে এই ঘৃন্যতম যৌতুক প্রথাটি সহজেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।। আপনি কিছুকাল পরে দেখবেন পুরুষেরা নগদ মহরানা দিয়ে বিয়ে করার জন্য প্রতিযোগিতায় লেগেছে।। আর নারীদের সম্মান বৃদ্ধি হবে।
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,
তোমরা বিয়ে কর নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে; দু’টি, তিনটি অথবা চারটি। আর যদি ভয় কর যে, তোমরা সমান আচরণ করতে পারবে না, তবে একটি (মহাগ্রন্থ আল-কুরআন- সূরা নিসা- আয়াত নং ৩)
অনেক নারী চারটি বিবাহকে অধিকার হরন ও জুলুম মনে করে যা কুফর এবং কুরআন বিরোধী হওয়ায় ঈমান ভঙ্গের কারন হতে পারে।
#একাধিক_বিবাহের_সুবিধা
[এই পোষ্টটি করার মাধ্যমে কাউকে একাধিক বিয়ের জন্য বাধ্য করা হচ্ছেনা। যার সামর্থ আছে তিনি করবেন আর সামর্থ নাই তিনি বিরত থাকবেন]
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন