পাগলে ইউনিভার্সিটি নোয়াখালী 😁
ঢাকা ভার্সিটি পড়ুয়া এক ছাত্র নোয়াখালী নামক এলাকাকে প্রচুর অপছন্দ করতো।
দিতে নীলক্ষেত দিয়ে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করিলো।
ঢুকিবার মুখেই দেখিলো সার্জেন্ট জহুরুল
হক হল, এফ রহমান হল। সে তীব্র স্বরে
আর্তনাদ করিয়া উঠিলো যখন শুনিলো
দুইজনের জন্মস্থান নোয়াখালী।
এরপর, তিনি যাইবেন শামসুন্নাহার হলে।
জনৈক রমনীর সাথে ইটিশ পিটিশ
করিতেছেন তিনি।
সেখানে যাইয়া তিনি ব্রেকাপ করিবার
সিদ্ধান্ত নিলেন। কারন, বেগম
শামসুন্নাহারও নোয়াখাইল্লা।
এরপর, তিনি বুকের কষ্ট চাপা দিয়া বাংলা
একাডেমির বই মেলায় প্রবেশ করিলেন। বই
মেলা থেকে তিনি মুনীর চৌধুরী এবং
শহীদুল্লাহ কায়সারের বই কিনিয়া বেংগল
বিস্কুট চাবাইতে চাবাইতে সেজান জুস
পান করিলেন।
মেলা থেকে বের হয়েই এক্স গার্লফ্রেন্ডের
সাথে দেখা। এক্স জানাইলো বাংলা
একাডেমীর বই মেলার জনক চিত্ত রঞ্জন
সাহা একজন নোয়াখাইল্লা। আর সেই বই
মেলা থেকে কেনা বই এর লেখক মুনীর
চৌধুরী আর শহীদুল্লাহ কায়সারের বাড়িও
নোয়াখালী
দুঃখে তিনি বেংগল বিস্কুট আর সেজান
জুস আছাড় মারিলেন। এরপর, পাশের এক
দোকানদার বলিলো - "ও ভাই, ইগাও
নোয়াখাইল্লা প্রোডাক্ট।"
রাগে দুঃখে তিনি বিচার নিয়ে গেলেন
ক্যান্টনমেন্ট আর আওয়ামী লীগ
সেক্রেটারীর কাছে। এরপর, দুই জায়গা
থেকে তাকে দূর দূর করিয়া তাড়াইয়া দেয়া
হইলো। কারন, আর্মি চীফ এবং আওয়ামী
লীগ সেক্রেটারীও নোয়াখাইল্লা।
সরকারের কাছ থেকে ছ্যাঁকা খেয়ে গেলেন
বিরোধী দলের কাছে। সেখানে আরো
ভৎসনার শিকার হইলেন কারন বিএনপি
চেয়ারপার্সনের বাড়িও নোয়াখালী।
এরপর গেলেন স্পিকারের কাছে। মাননীয়
স্পিকারের বাসার দারোয়ান বলল, শিরিন
শারমিন ম্যামও নোয়াখাইল্যা।।
এরপর, তিনি রাগ সামলাতে না পেরে
শরীফ মেলামাইনের বাটি আছাড় মেরে
জানতে পারলেন ওটাও নোয়াখাইল্লা
কারো।
নোয়াখাইল্লাদের অত্যাচারে তিনি
গেলেন আত্মহত্যা করতে।
ঘুমের ঔষুধ খেতে যেয়ে দেখেন ওটাও
নোয়াখাইল্লা কোম্পানী গ্লোবের তৈরি।
নোয়াখাইল্লাদের হাত থেকে বাচার জন্য
তিনি অফিসের হার্ড বোর্ডের পার্টিশনে
মাথা ঠুকলেন। এরপর, জানতে পারলেন
পার্টেক্স কোম্পানীও নোয়াখাইল্লা।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন