Header Ads

Header ADS

আচ্ছা আব্বু, উলঙ্গ হয়ে জড়িয়ে ধরে মুখে পাপ্পি দিলে কী হয়? (রোমাঞ্চকর গল্প)

রাইসারঃ আব্বু আচ্ছা বাবাই উলঙ্গ হয়ে জড়িয়ে ধরে মুখে পাপ্পি দিলে কী হয় ? মজা লাগে বাবাই? 
-বসে বসে ল্যাপটপে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ একটা ফাইলের কাজ করছিলাম। হঠাৎ রাইসার মুখে এমন কথা শুনে চমকে উঠলাম।
- রাইসা কথাটা বলে, ছবি আকাঁয় মন দিল। 
-রাইসার কথাটা মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। ছোট্ট একটা মেয়ে বয়স সাত ছুঁইছুঁই। কিন্তু হঠাৎ এমন কথা কেন বললো? 
- এদিকে কথাকে দেখলাম শাওয়ার নিয়ে বের হচ্ছে। 
- বুঝলাম না ইদানিং কথা প্রায়ই সন্ধ্যার পর কথা গোসল করে। আমি সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অফিসে থাকি। সারাদিন কথা আর রাইসায় বাসায় থাকে। তাহলে কি কথা?না আমি এসব কি ভাবছি। মাথাটা কেমন যেন ঘুরছে। 
-ভাবলাম রাইসাকে একবার জিজ্ঞেস করে দেখি কেন বলল এমন কথা। পরক্ষণে মনে হল না, রাইসাকে বলা ঠিক হবে না!
- রাত্রে শুয়ে শুয়ে ভাবছি, রাইসা হঠাৎ এমন কেন বললো। আমি আর কথা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে হালাল কাজগুলো রাইসার আড়ালে করি। হঠাৎ কথা রাইসাকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে এসে আমার পাশে শুয়ে পড়ল। আমি ঘুরে কথার কাছে চলে গেলাম। কথাকে কাছে টানছি। কথা আমাকে ছাড়িয়ে বলল' আমার শরীরটা ভাললাগছে না। আজকে না অন্যদিন। আমি কিছু না বলে ঘুরে গেলাম। মনে মনে ভাবতে লাগলাম কথা কো আগে এমন ছিল না। আমাকে বুকে না নিলে তো কথা ঘুমাতে পারতো না। পাগলীটা বিদ্যুৎ চমকালেও ভয় পেত।

-পরের দিন অফিসে যাওয়ার পর সারাক্ষণ শুধু রাইসার কথায় মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। অফিসের কাজে মন বসাতে পারছি না। নাজমুল সাহেব বলল' রাজ ভাইয়া শরীর খারাপ লাগছে কি আপনার? আজ অফিসে আসছেন থেকে দেখছি, আপনি মনমরা হয়ে আছেন। মনে হচ্ছে কোন বিষয় নিয়ে চিন্তিত। কোন সমস্যা থাকলে বলতে পারেন।
- নাহ্ নাজমুল সাহেব কোন সমস্যা নেই। এমনি ভাললাগছে না ।
- লাঞ্চ টাইমে লাঞ্চ করে অফিসে বসে বসে পেপার পড়ছি, হঠাৎ পেপারে একটা হেডলাইন দেখে চোখটা আকটে যায়। ২ বছরের সন্তান রেখে পুরনো প্রেমিকের সাথে অশালীন কাজ করতে গিয়ে হোটেল এ ধরা পড়লেন মহিলা। নাজমুল সাহেবকে বললাম' দেশটা একদম রসাতলে যাচ্ছে! মানুষের মাঝে ইসলামের আলো না থাকায় কত রকম অশ্লীল কাজে পা বাড়াচ্ছে। ২ বছরের একটা বাচ্চা রেখে এমন কাজ করতে বিবেকেও বাধে না?
- কি করবেন ভাই? মানুষ আল্লাহকে ভুলে গেলে কতরকমের কাজই না করতে পারে।

- পেপার টা রেখে অফিস থেকে ২ ঘন্টা আগেই বের হয়ে পড়লাম। আজ কথার বার্থডে তাই 'বার্থডে কেক, আইসক্রীম এবং নীল একটা শাড়ি সাথে কথার পছন্দের বকুলের মালা নিয়ে বাসায় আসতেই দেখলাম কথা কিচেনে, রাইসা উজ্জলের সাথে বসে ফোনে গেমস খেলছে। উজ্জল আমাকে দেখেই বলল' দুলাভাই কেমন আছেন?
- জ্বি আলহামদুলিল্লাহ! তা তোমার পড়ালেখা কেমন চলছে।
- জ্বি দুলাভাই ভালো।
- উজ্জল কথার কাজিন। প্রায়ই আমাদের বাসায় আসে। ছেলেটা ভালোই।
- যাই হোক সন্ধ্যায় কেককাটার সময় আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে নাইম চাচা এবং তাদের পরিবারের সবাইকে আসতে বললাম। নাইম চাচা একটা ব্যাংকে জব করে। অনেক ভালো মানুষ রাইসা, প্রায় দিনের বেশিভাগ সময় তাদের ফ্ল্যাটেই থাকে। 
- রাত আটটায় কথার বার্থডে কেক কাটার পর। অনেক মজা হলো। রাত্রি বেলা কথা আমার মাথায় হাত ভুলিয়ে দিচ্ছে। আমি কথার বুকে নিজেকে আড়াল করে রেখেছি। 
- এদিকে আমার মাথা থেকে রাইসার কথাটা এখনো যায়নি। 
-মনে মনে ভাবছি কথা কি আমাকে ঠকাচ্ছে? আর কথা কেন আমাকে ঠকাবে আমি তো কথাকে নিজের থেকেও বেশি ভালবাসি। একে -অপরকে ভালবেসে বিয়ে করেছি। না কথা আমার বিশ্বাসের অমর্যাদা করতে পারে না।

- এদিকে প্রায়ই দেখি কথা রাত্রি বেলা গোসল করে। রাতেও আমাকে আগের মতো সময় দেয় না শরীর খারাপ বলে এড়িয়ে যায়। কথার ব্যবহারে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আগে তো কথা এমন ছিল না। তাহলে কথা কি সত্যিই না আমাকে আসল রহস্য উদঘাটন করতেই হবে। 
- রাইসাকেও কিছু বলা যাবে না। রাইসা যদি কথাকে বলে দেয়।
-তাই যা করতে হবে নিজেকেই। 
- এদিকে রাইসাকেও দেখি মনমরা হয়ে থাকে। কথার কাছে কম যায় এখন। বিষয়গুলো ভাবাচ্ছে খুব। 
- পরের দিন অফিসের একটা কাজে হসপিটাল রোডে যাওয়ার সময় কথাকে দেখলাম হসপিটালে ঢুকছে। 
-আমি বুঝতে পারছি না কথা হসপিটালে কেন আসছে? 
- কথার পিছন পিছন আমি হসপিটালে ঢুকলাম। 
- কথা একটা মহিলা ডাক্তারের রুমে ঢুকল। কিছুক্ষণ সেখানে থেকে, কথা কিছুক্ষণ ডাক্তারের সাথে কথা বলে রুম থেকে বেরিয়ে আসল।
- আমি তাড়াতাড়ি করে জানালার কাছ থেকে সরে আসলাম। কথা হসপিটাল থেকে বের হতেই সে ডাক্তারের রুমে থেকে একটা নার্স বের হলো। নার্সকে কথার কথা জিজ্ঞেস করতেই বলল ' ওই উনি তো এবারর্শন নিয়েই কথা বলতে এসেছিল মনে হয় ! নার্সের কথা শুনে মুহূর্তের মাঝে বুকের ভেতর চিনচিনে ব্যাথা অনুভব করলাম।
-হসপিটাল থেকে বের হয়ে কথার পিছু নিলাম। কথা একটা শপিং মলের সামনে গিয়ে নামল। কথা কাকে যেন ফোন দিল। কিছুক্ষণের মাঝেই একটা ছেলে আসল! কথা ছেলেটাকে নিয়ে শপিং মলে ঢুকল। কিছুক্ষণ পর, কথা ছেলেটাকে নিয়ে বের হল। 
- আমি কি করব কিছু ভাবতে পারছি না। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি, বিকেল ৩ টা বাজে। কথা ছেলেটার সাথে রিক্সায় উঠল। আমিও তাদের পিছন পিছন একটা রিক্সা নিয়ে ছুটে চললাম। কিছুক্ষণ পর কথা আর ছেলেটা বড় একটা পাঁচতারকা হোটেলে ঢুকল। আমি কথাকে ফোন দিলাম। দু'বার ফোন রিং হতেই কথা ফোনটা ধরেই ওপাশ থেকে সালাম দিল। 
- আমি সালামের জবাব দিয়ে বললাম ' তুমি কোথায়?
- কোথায় আবার কিচেনে রান্না করছি? 
- কথা জানে আমি সন্ধ্যার আগে অফিস থেকে বাড়ি ফিরব না।
- আমি কি বলব কিছু ভেবে পারছি না। কথা আমাকে এভাবে ঠকাবে? 
- বুকের ভেতরটা ফেঁটে যাচ্ছে। তাহলে রাইসা এইসব নোংরামীই দেখেছে। কিছু ভাবতে পারছি না আমি চোখের পানি মুছে হোটেল থেকে সোজা বাসায় চলে আসলাম। 
- বাসায় আসার প্রায় দু'ঘন্টা পর কথা বাসায় এসে আমাকে দেখে ক্ষানিকটা ঘাবড়ে যায়। কোথায় গিয়েছিলে? বান্ধবীর বাসায়। 
- তাহলে আমাকে যে বললে কিচেনে? 
- সরি, অর্পণাদের বাসায় গিয়েছিলাম। তুমি যদি রাগ কর তাই বলছি কিচেনে। আর আজ তুমি সকাল সকাল এসে পড়েছো কে জানে?
- হুম তাই তো সকাল সকাল না আসলে জানতে পারতাম না এবারশন করতে তুমি হসপিটালে যাও। অন্য ছেলেকে নিয়ে হোটেলে যাও! 
- - বুকের ভেতরটা ফেঁটে যাচ্ছে। তাহলে রাইসা এইসব নোংরামীই দেখেছে। কিছু ভাবতে পারছি না আমি চোখের পানি মুছে হোটেল থেকে সোজা বাসায় চলে আসলাম।
- বাসায় আসার প্রায় দু'ঘন্টা পর কথা বাসায় এসে আমাকে দেখে ক্ষানিকটা ঘাবড়ে যায়। কোথায় গিয়েছিলে? বান্ধবীর বাসায়।
- তাহলে আমাকে যে বললে কিচেনে?
- সরি, অর্পণাদের বাসায় গিয়েছিলাম। তুমি যদি রাগ কর তাই বলছি কিচেনে। আর আজ তুমি সকাল সকাল এসে পড়েছো কে জানে?
- হুম তাই তো সকাল সকাল না আসলে জানতে পারতাম না এবারশন করতে তুমি হসপিটালে যাও। অন্য ছেলেকে নিয়ে হোটেলে যাও! ছিঃ কথা তোমার লজ্জা করে না মিথ্যা বলতে আমায়?বল তোমার কিসের অভাব? কেন করলে বিশ্বাস নেয়ে খেলা।
- কথা কোন কথা বলছে না। চোখের পানি টপটপ করে পড়ছে।
- কি হলো দাঁড়িয়ে আছ কেন? আমার চোখের সামনে থেকে চলে যাও। তোমাকে দেখতে মন চাচ্ছে না।
- বললেই চলে যাবো। আমি তোমায় ছেড়ে কোথাও যাবো না। আমাকে তুমি ভুল বুঝতেছো। আমার হৃদয়ে শুধু তুমিই আছো রাজ। আর এই দেহটা তুমি ছাড়া অন্য কেউ স্পর্শ করেনি। আর যেন কেউ করার আগে আমার মৃত্যু হয়।
- তাহলে হসপিটালে এবারর্শন করতে কেন গিয়েছিলে? নিজের পাপ ঢাকতে।
- রাজ প্লিজ চুপ কর। আমি আর নিতে পারছি না।
- হুমম সত্যি কথা গায়ে লাগবেই। জানো কথা তোমাকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলাম। আর তার প্রতিদান স্বরূপ এভাবে কষ্ট দিবে?
- তুমি বললেই হতো যে, আমার সাথে তুমি হ্যাপি নও।
- রাজ তুমি যা ভাবছো সব ভুল ভাবছো।
- হ্যাঁ আমি ভুল ভাবছি। তাহলে বল হসপিটালে কেন গিয়েছিলে? আবার হসপিটাল থেকে বের হয়ে অন্য একটা ছেলেকে নিয়ে শপিং করে হোটেলে কেন গিয়েছিলে?
- বল এসবকিছু মিথ্যা?
- না রাজ সবকিছুই সত্যি। কিন্তু তুমি যা ভাবছ তা সত্যি নয়।
- আমি হসপিটালে গিয়েছিলাম ডক্টর দেখানোর জন্য। আমার একটা রোগ আছে। সেই জন্য জরায়ু দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিদিন পিরিয়ড হয়। ডাক্তার সানজিদাকে দেখিয়েছি। তিনি রির্পোট দেখে বলেছেন, জরায়ুতে টিউমার হয়েছে। আর সেটা অপারেশন করে ফেলে দিতে হবে। আর অপারেশন করলে, বেশিভাগ সম্ভাবনা, আমি আর কোনদিন মা হতে পারব না। পৃথিবীতে সবাই চাই বংশের বাতি হিসেবে একটা ছেলে। কিন্তু আল্লাহ এখনো আমাদের কোন ছেলে দেয়নি। জানো রাজ আমি সন্ধ্যাবেলা গোসল করতাম এ রোগের জন্যই। রাতে খুব করে মন চাইত তোমার বুকে মাথা রেখে নিজেকে সর্পে দিতে। কিন্তু যখন জরায়ু থেকে ব্ল্যাড নির্গত হতো খুব কষ্ট হতো। আর তোমাকে এ বিষয়টা জানায়নি। তুমি যদি কষ্ট পাও, তাহলে আমি যে এখনকার ব্যথা সহ্য করতে পারছি হয়ত তোমার তখনকার ব্যথা সহ্য করতে পারতাম না। কিন্তু আজ আমাকে সতী প্রমাণ করতে বলতেই হলো। ক্ষমা করে দাও না আমায়।
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: "নিঃস্বার্থ ভালোবাসা"**
-আরেকটা কথা হসপিটাল থেকে বের হয়ে। হুট করেই রাফি ফোন দিয়ে বলে তার বিয়ে। আর আমাকে যেতে হবে। ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারিয়ে এতিমখানায় বড় হয়। এতিমখানা থেকে পড়ালেখা করে চান্স পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এক রক্তদান কর্মসূচিতে পরিচয়। সেখান থেকেই ভাই-বোনের সম্পর্ক। তাই আর না করতে পারিনি । হোটেলে গিয়ে দেখি বউ সেজে যে মেয়েটা বসে আছে সেটা রিত্ত! রাফি রিত্তের সামনে নিয়ে বলে পরিচয় হয়ে নেও এটা আমার আপু । আমার একমাএ অভিভাবক। আমি বুঝতে পারছিলাম না কি হচ্ছে।রিত্ত যে তোমাকে ছাড়া কিছুই বুঝত না সে রিত্তই তোমাকে ছাড়া বিয়ে করছে না জানিয়ে। সবার সামনে রিত্তের গালে চড় বসিয়ে দেয়। রিত্ত আমার পা ঝাপটে ধরে বলে ভাবী আমায় ক্ষমা করে দাও ভাইয়াকে কিছু বলো না। তারপর রিত্ত সব খুলে বলে আমায়।
- মানে? কি বলছ এসব?
- হ্যাঁ ঠিকই বলছি, আজ আমার বলতে কোন বাঁধা নেই বলতেই হবে আমার।(কথা)
-আমার বোন এমন না। আমি এসব কিছু বিশ্বাস করি না।
- হুম আমিও করিনি। কিন্তু এটাই সত্যি। কলেজের একটা ছেলেকে ভালবাসত রিত্ত। নাম, রাফি । ছেলেটাও রিত্তকে প্রচণ্ড ভালবাসত। তাদের ভালবাসার বন্ধনটা ছিল পবিএ। কিন্তু একদিন কলেজ ফাংশনে যোগ দেওয়ায় রিত্তের মেসে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা লেগে যায়। আর এই সুযোগে একদল নরপশু রিত্তের শরীরে ধর্ষিতার ছাপ বসিয়ে দেয়। জানো রাজ আমাদের সমাজে ধর্ষকের জায়গা হলেও, হয় না ধর্ষিতার জায়গা। এদিকে রিত্ত ধর্ষিতা হওয়ার কথা কাউকে জানায়নি। কিন্তু কয়েকদিন পর রিত্ত স্থির করল রাফিকে সব বলে দিবে। তাই রাফিকে নিয়ে কলেজের পাশ দিয়েই নদী বয়ে গেছে। সেখানে নিয়ে যায়। এটা রিত্ত আর রাফির প্রিয় জায়গা। রিত্ত ভণিতা করা বাদ দিয়ে বলতে লাগে ' রাফি আমাকে ভুলে যাও।'
কথাটা রিত্তকে যতটা আঘাত করে তারচেয়ে আঘাত করে রিত্তর পাশে বসে থাকা রাফির বুকে। রাফি স্তব্ধ হয়ে যায়।
- রাফি তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি চাই না কোন ধর্ষিতার জন্য তোমার জীবনটা নষ্ট হোক। জানো আমি ভাইয়াকেও বলতে পারিনি। আমি চাই না আমার ভাইয়ার দিকে কেউ আঙ্গুল তুলে বলুক 'ওই যে ধর্ষিতার ' ভাই যাচ্ছে। তোমার দিকে কেউ আঙ্গল তুলে বলুক যে ধর্ষিতার স্বামী যাচ্ছে। তাই এই নষ্ট জীবন নিয়ে আর বেঁচে থাকতে চায় না
- রাফি রিত্তের গালে কষে চড় বসিয়ে দিল। কি মরতে চাও তবে আমায় সঙ্গে নিয়ে মরো।

একা কেন মরবে? আজ তোমার ধর্ষিতা হওয়ার পিছনে দেশের কিছু জারজ সন্তানই দায়ী। আমাদের মতো পুরুষের ব্যর্থতা নারীদের নিরাপত্তা দিতে পারিনি। নারীরা প্রতিটা পদে পদে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে। আমি তোমার দেহটাকে নয় আমি তোমার বুকের বা'পাশে লুকিয়ে থাকা মনটাকে ভালবেসেছি। যে জায়গা শুধু আমারই। আর আমি তোমাকে এ সপ্তাহেই বিয়ে করব। পরে একটা সময় সবাইকে জানালেই হবে। হয়ত তোমার ভাইয়া রাগ করবে পরে ঠিকই মেনে নিবে। আর তোমার বিয়েতে এক আপুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। দুনিয়ার আপন বলতে সে আপুটায়।
- রিত্ত আর রাফি কই? তাদের শাস্তি আছে ভাইকে রেখে বিয়ে করে নিল?
- আর তোমার সাথে কোন কথা নেই!
- কেন আমি কি করলাম?
- কি করছো জানো না?
- না,তো।
- কেন এতদিন বলোনি তুমি অসুস্থ। জানো আমার খুব কষ্ট হয়েছে। শোন আমি চাই তুমি অপারেশনটা করো। আমার বংশের প্রদীপ লাগবে না। আমার তুমিটাকে চাই যার কাছে বিশ্বাসটুকু জমা রাখা যায়। আজ যদি আমার বড়কোন সমস্যা হতো পারতে আমাকে দূরে সরিয়ে দিতে?
- ওই পাগলী কাঁদছ কেন? বুকে আস।
- কথাটা বলার আগেই বুকে কারো অস্তিত্ব অনুভব করলাম। শার্টটা কারো চোখের পানিতে ভিজে যাচ্ছে। বুঝতে পারলাম আজ বৃষ্টিপাত ভালোভাবেই হবে। এ বৃষ্টিযে ভালবাসার, ভূমিকে নতুনরূপে সাজাতে ঝরছে।
-হঠাৎ রাইসার কথা মনে পড়ল'
'আচ্ছা বাবাই উলঙ্গ হয়ে জড়িয়ে ধরে মুখে পাপ্পি দিলে কী হয় ? মজা লাগে বাবাই?
- হঠাৎ মনে হল ' রাইসা কারো কাছে যৌনহয়রানির স্বীকার হচ্ছে না'তো?
- কথাকে বিষয়টা জানাতেই বলল' চল রাইসাকে সুন্দরভাবে জিজ্ঞেস করি। যে ভাবা সেই কাজ ' রাইসাকে যেয়ে বললাম মামনি তুমি, সেদিন ওই কথা বলছ কেন?
- বাবাই কোন কথা?
- 'আচ্ছা বাবাই উলঙ্গ হয়ে জড়িয়ে ধরে মুখে পাপ্পি দিলে কী হয় ? মজা লাগে বাবাই? এই কথা।
- ও এই কথা? যাবো বাবাই আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে দাদু থাকে না। ব্যাংকে চাকরি করে। সে দাদু আমাকে উলঙ্গ হতে বলেছিল। আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল। খুব মজা লাগবে না। আমাকে মোবাইলে দেখাইছে একটা মেয়ে, আরেকটা ছেলে উলঙ্গ হয়ে কি যেন করছে। আমাকে বলছে আমি যেন তোমাকে না বলি। বললে তুমি নাকি আমাকে বকা দিবে?
- আমি জানি আমার বাবাই অনেক ভালো আমাকে বকা দিবে না। তাই সেদিন তোমাকে বলেছি। ঠিক করেছিনা বাবাই?
- রাইসাকে কুলে তুলে নিয়ে দু'গালে মুখে চুমু দিয়ে বললাম' আমার মামনিটা কি ভুল করতে পারে? এইপর সব আমাকে বলবে। তার আগে আমার পাপ্পি আমাকে ফেরত দাও। রাইসা পাপ্পি দিয়ে বলল' আমার লক্ষী বাবাই।
- মামনি আর ওই দাদুর কাছে যাবে না কেমন?
-আচ্ছা বাবাই।
- রাইসা টম এন্ড জেরী দেখতে চলে গেল। আমি আর কথা দু'জন দু'জনের দিকে চেয়ে আছি। কথার চোখে পানি। কথা চোখের পানি মুছে বলল' লোকটাকে বাবার মতো মনে করেছিলাম, আর সেই কিনা, তার নাতীর বয়সি মেয়ের সাথে ছিঃ! রাজ তুমি অন্য বাসা দেখ।
- পরের সপ্তাহেই অন্য একটা বাসা ঠিক করলাম অফিসের পাশেই।
- যাওয়ার আগে মনে মনে ঠিক করে নিলাম, নাইম চাচাকে কিছু কথা বলা দরকার। চাচার বাসায় নর্ক করতেই চাচা দরজা খুলে দিল।
- আসসালামু আলাইকুম চাচা। এমন সময় দেখলাম চাচার বড় মেয়ের সাতবছর বয়সি নাতনী টা নানু -ভাই বলে দৌড়ে এসে কুলে উঠল।আচ্ছা চাচা বেয়াদবি না নিলে একটা কথা বলি, হুম বাবা বলো।
-চাচা আপনার নাতনীটা না খুব সুন্দর। একদম পরীর মতো। আচ্ছা চাচা আপনার নাতীকে কেউ যদি এ সময় পর্ণগ্রাফী দেখায়। বলে উলঙ্গ হয়ে জড়িয়ে ধরলে মজা লাগবে? তখন আপনার কেমন লাগবে। জানেন পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষই কারো না কারো আপনজন। ছোট্ট বাচ্চারা আমাদের কাছেই শিখবে তাদের যদি আমরাই হয়রানি করি কেমন হবে। বয়সে আপনার চেয়ে অনেক ছোট আমরা চলে যাচ্ছি । কখনো কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিয়েন।
এই বলে যখনি পা বাড়াবো তখনি লোকটা বলে উঠল বাবা ক্ষমা করে দাও আমায়। আমি অন্যায় করেছি ।
- মুচকি হেসে বললাম ' চাচা আপনার ভুল বুঝতে পারাটাই আপনার জন্য ক্ষমা!
- রুম থেকে বের হতেই দেখি রিত্ত আর একটা ছেলে কথার সাথে দাঁড়িয়ে আছে। কাছে যেতেই পা ছুঁয়ে সালাম করেই রিত্ত কান্না করে দিল।
আমরা চলে যাচ্ছি। যদি কখনো কোন অন্যায় করে থাকি
রিত্তকে বুকে জড়িয়ে নিলাম। বুকের বামপাশটায় রাফিকে জড়িয়ে নিলাম।
সমাপ্ত।
বিঃদ্রঃভুলক্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবার কাছে অনুরোধ, কোন নারীর দুর্বলতার সুযোগ না নিয়ে দায়িত্বের সুযোগ নিবেন। কোমলমতি শিশুরা আছে যারা যৌনতা কি বুঝে না তার আগেই যৌনহয়রানির শিকার হয়। একটা বার কি আমরা বিবেককে প্রশ্ন করি না? একটা নারী আমার 'মা '। যে দশমাস দশদিন গর্ভে ধারণ করেছে। একটা নারী আমার বোন। একটা নারী আমার স্ত্রী। একটা নারী আমার সন্তান। তারপরও কেন এত ধর্ষণ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.