Header Ads

Header ADS

কেনো এমন অবিচার রহস্যময় দুনিয়ায়।

নারীর রূপে বিমোহিত হয় সকলেই।নারী নিজেও তার রূপ কে ভালোবাসেন এবং তাঁর যত্ন করেন।কিন্তু নারী যখন মাতৃত্বের স্বাদ আস্বাদন করতে চায় তখন তাঁর কাছে প্রিয় রূপ টি প্রাধান্য হারায়।নারী তখন তাঁর রূপ খোঁজে মাতৃত্বে।সন্তান জন্ম দিয়ে একজন নারী যেমন মা হন তেমনি পুরুষ হয়ে উঠেন একজন পিতা।  

আপনার সন্তান টিকে জন্ম দিতে, আপনাকে পিতৃত্বের স্বাদ দিতেই আপনার স্ত্রী টি তাঁর প্রিয় রূপটিকে হাসি মুখে ধীরে ধীরে মলিনতায় ঢেকে ফেলে। কারণ তাঁর কাছে তখন মাতৃত্বের স্বাদ টাই প্রাধান্য পায় বাকি সবকিছু ফিকে পরে যায়।

আপনারই অস্তিত্ব কে পৃথিবীর আলোতে আনতে আপনার স্ত্রী টি মুটিয়ে যায়,পেটে মেদ জমে,ফাটল ধরে, মাতৃত্বজনিত দাগ বসে যায়।আপনার সন্তান যখন আপনার স্ত্রীর দুধ পান করে তখন আপনার স্ত্রীর স্তন যুগল ঝুলে পরে।যখন শিশু মায়ের দুধ পান করে তখন মায়ের খাবারের চাহিদা থাকে প্রচুর। কারণ তাঁর খাওয়া থেকেই আরেক টা প্রাণ জীবনধারণ করে। 

এই সময় মায়েদের বাড়তি খাবার খেতে হয়,আর তখনই মায়েরা মুটিয়ে যায়। এখন কথা হচ্ছে এই মুটিয়ে যাওয়া কে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে স্বামীরা স্ত্রী দের আর পূর্বের মত ভালোবাসতে পারেন না। স্বামী মুটিয়ে যাওয়া  শরীর ভেঙ্গে যাওয়া স্ত্রী কে নিয়ে কোথাও যেতে লজ্জা পান।কাউকে পরিচয় করিয়ে দিতে লজ্জা পান। একটা বারও কি ভেবে দেখেছেন, আপনার স্ত্রী যে কারণে তাঁর প্রিয় রূপটিকে বিসর্জন দিয়েছেন তাতে আপনি পিতৃত্বের স্বাদ পেয়েছেন? যে পেটে মেদ জমে ফাটল ধরেছে বলে আপনি আর আগের মত স্ত্রীর প্রতি আকর্ষিত হন না,সেই পেটে আপনার বংশধর কেই তিনি তিল তিল করে পূর্ণতা দিয়েছেন? যে স্তনযুগল ঝুলে যাওয়ায় আপনি আর আপনার স্ত্রীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন না,সেই স্তনযুগলে মাতৃত্বের আসল রূপ আপনার চোখে পরেনা? তবে তো আপনি আপনার স্ত্রী কে ভালোবাসেন নি,কোন নারীর মন কে ভালোবাসেন নি। আপনি নারীর রূপ কে ভালোবেসেছেন। 

যার পরিবর্তনে আপনি হারিয়েছেন আপনার আগ্রহ অনুভূতি। একজন মা সারাদিনের কর্মব্যস্ততা আর সন্তানের লালন পালনের পরে যদি আপনার জন্য তাকে নায়িকা হতে হয় তবে আপনি নায়িকাই বিয়ে করুন,সাধারণ নারী কে নয়। কারণ সাধারণ নারীদের অসাধারণ রূপ তাঁদের মাতৃত্বে।

একটি নারী জন্মের পর তার বাবার কাছে মেয়ে, ভাইয়ের কাছে বোন, বিয়ের পর স্বামীর কাছে বউ। নারীদের  পানির ন্যায় তাকে যে পাএে রাখা হয় সেই পাএের আকার ধারন করতে হয়।

যেটা একমাএ মেয়েরাই পারে।

স্যালুট পৃথিবীর সকল মা বোনদের!
বিশেষ দ্রষ্টব্য : দয়া করে ছবি টাকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবেন না। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.