ফ্রিল্যান্সিং এর সেরা ১০ টি কাজ | Top 10 Freelancing Jobs in Bangla
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়ার প্রথম ধাপে ঠিক করে নিতে হবে আপনি ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নিয়ে ফুলটাইম কাজ করবেন, নাকি চাকরি বা অন্যান্য পেশার পাশাপাশি পার্টটাইম ফ্রিল্যান্সিংকরবেন? আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিংকে ফুলটাইম জব হিসেবে বেছে নিতে পারেন ।
প্রাথমিকভাবে যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে ইচ্ছুক বা ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার গড়তে চাচ্ছেন তাদের মনে হাজারো রকম প্রশ্ন থাকে । যেমন- কোন পথে যাওয়া উচিত? কোন পথে হাঁটলে সহজেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে সহজ ক্যারিয়ার করতে পারব? এক কথায় বলা যায় সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে থাকেন । তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলবো এ ব্যাপারে নিজেদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে । ফ্রিল্যান্সিংয়ে যে কাজগুলো আপনার ভালো লাগে সেটি নিয়ে রিসার্চ করুন এবং সে বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করুন ।
অনেকেরই কাজ শুরু করার আগে যেহেতু ধারণা কম থাকে সে কারণেই ফ্রিল্যান্সিং এর সেরা ১০ টি বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে সংক্ষিপ্ত ভাবে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম ।
অনলাইনে যে কাজগুলো করার মাধ্যমে সফলতা অর্জনের সম্ভাবনা বেশি, অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেসের বাইরেও যে কাজগুলো বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে সেরা ১০ টি কাজ হচ্ছে - আর্টিকেল রাইটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, এসইও, ইমেইল মার্কেটিং, অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ।
ফ্রিল্যান্সিং এর সেরা ১০ টি কাজ নিয়ে আলোচনা
১। আর্টিকেল রাইটিং
বর্তমানে অনলাইনে যে সকল মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেমন- আপওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম ইত্যাদি এগুলোতে এবং এই মার্কেটপ্লেস এ ছাড়াও অনলাইনে অনেক সাইট রয়েছে যেগুলোতে আর্টিকেল রাইটিং এর প্রচুর কাজ পাওয়া যায় । আর এই কাজের সফল হওয়ার সম্ভাবনাও প্রচুর । আমি এমন অনেককে দেখেছি তারা মাসে ৫ থেকে ৭ হাজার ডলার ইনকাম করছে । আবার অনেকে তার থেকেও বেশি ইনকাম করছে । আপনি যদি ভালো ইংরেজি জানেন আর লেখালিখিতে ভালো হলে আপনি এই বিষয়টি বেছে নিতে পারেন । এছাড়াও ব্লগ সাইট তৈরি করে সেখানে লেখালেখি করলে প্রচুর ইনকাম করা সম্ভব ।
২। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর বিষয়ে খুব সহজেই এ ব্যাপারে ধারনা নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন । অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠান বা সাইটের অনুমতি সাপেক্ষে তাদের পণ্য বিক্রয় করা । এক্ষেত্রে তাদের প্রতিটি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রয় এর বিপরীতে আপনাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের পারসেন্টেন্স বা কমিশন দেয়া হবে । এটাই সংক্ষেপে এফিলিয়েট মার্কেটিং । বাংলাদেশে অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যারা অ্যামাজন, ক্লিকব্যাংক ইত্যাদিতে কাজ করে থাকেন এবং তারা অনেকটাই সফল । যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেন তারা বেশ ভালো অর্থ উপার্যন করেন ।
৩।ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে মূলত ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে সকল পণ্যের মার্কেটিংয়ের জন্য অর্থাৎ বিজ্ঞাপন বা এ্যাড দেওয়া হয় সেটাকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলে । এক্ষেত্রে বিভিন্ন জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইট গুলোকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য বেছে নেওয়া হয় । যেমন- গুগোল, ফেসবুক, টুইটার, লিংকডিন, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি । আপনি ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখার সময় যে বিজ্ঞাপন গুলো দেখতে পান সেগুলোই মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিজ্ঞাপন । এই বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য মার্কেটপ্লেস গুলোতে প্রচুর কাজ পাওয়া যায় । এই কাজ তুলনামূলক অনেক সহজ এবং কাজের রেটও ভালো । এই বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করলে ভালো সফলতা পাওয়া সম্ভব ।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন